SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

ব্রায়োফাইটা বা মসবর্গীয় উদ্ভিদঃ দুটি গ্রিক শব্দ Bryon অর্থ মড এবং Phyton অর্থ উদ্ভিদ হতে ব্রায়োফাইটা নামকরণ করা হয়। বিজ্ঞানী ব্রাউন ১৮৬৪ সালে এটির নামকরণ করেন। ❝যেসব ভ্রূন উৎপন্নকারী গ্যামেটোফাইটিক সদস্য পরিবহন টিস্যুবিহীন,থ্যালয়েড বা কোমল কান্ড ও পাতা যুক্ত,রাইজয়েডযুক্ত,বহুকোষী জননাঙ্গ ধারন করে ও জননকোষ এর চারপাশে বন্ধ্যা আবরণ থাকে তাদেরকে ব্রায়োফাইটা বলে।❞ এ বিভাগে ২৪০০০ প্রজাতি আছে। বাংলাদেশে ২৪৮ টি প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। ব্রায়োফাইটাকে উচ্চতর উদ্ভিদ হিসেবে গণ্য করা হয়। যা তিনটি শ্রেণীতে বিভক্তঃ ক.হেপাটিসি

খ.অ্যান্থোসিরোটি

গ.মাসাই

 

ব্রায়োফাইটা বৈশিষ্ট্যঃ
*এরা বহুকোষী উদ্ভিদ। এরা অপুষ্পক ও অবীজী অর্থাৎ এদের ফুল, ফল ও বীজ হয় না। 
*এদের দেহ গ্যামিটোফাইট (gametophyte) তথা হ্যাপ্লয়েড। গ্যামিটোফাইট সর্বদাই স্বতন্ত্র ও স্বভোজী উদ্ভিদ।  
*দেহ থ্যালয়েড অর্থাৎ দেহকে সত্যিকার মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় না, তবে মস জাতীয় উদ্ভিদকে ‘নরম কান্ড ও পাতার’ মতো অংশে চিহ্নিত করা যায়।  
*এদের মূল নেই, তবে মূলের পরিবর্তিত এককোষী রাইয়জেড (rhizoid) এবং কোনো কোনো প্রজাতিতে বহুকোষী স্কেল (scale) থাকে।   
*এদের দেহে কোনো ভাস্কুলার টিস্যু নেই। দেহ প্যারেনকাইমা টিস্যু দিয়ে গঠিত।
*এদের জননাঙ্গ বহুকোষী এবং বন্ধ্যাকোষাবরণ দিয়ে আবৃত।
*স্ত্রীজননাঙ্গকে আর্কিগোনিয়াম এবং পুংজননাঙ্গকে অ্যান্থেরিডিয়াম বলে। আর্কিগোনিয়ামের আকৃতি ফ্লাস্কের মতো এবং অ্যান্থেরিডিয়ামের আকৃতি গোলাকার, নাশপাতির মতো, বেলনাকার বা গদাকার হয়ে থাকে। 
* যৌন জনন উগ্যামাস প্রকৃতির অর্থাৎ বড় নিশ্চল স্ত্রী গ্যামিটের (ডিম্বাণু) সাথে ক্ষুদ্র ও সচল পুং গ্যামিটের (শুক্রানু) মিলন ঘটে।    
*শুক্রানু দ্বিফ্ল্যাজেলা বিশিষ্ট।
*নিষেকের জন্য জলীয় মাধ্যমের প্রয়োজন। 
*এদের ভ্রুণ বহুকোষী, ভ্রূণ স্ত্রী জননাঙ্গের অভ্যন্তরে থাকে। 
*জীবনচক্রে গ্যামিটোফাইট প্রধান এবং স্পোরোফাইট গৌণ।
*স্পোর অঙ্কুরিত হয়ে সরাসরি থ্যালাস গঠন বা প্রোটোনেমা উৎপন্ন করে।

Content added || updated By

Related Question

View More